ভিডিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নেসকো-পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীদের মাধ্যে চরম উত্তেজনা

প্রকাশিত: জুন ০৯, ২০২৪, ০৫:৩৮ বিকাল
আপডেট: জুন ০৯, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি নেসকো) কর্মীদের মধ্যে বাদানুবাদ, মারধর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের মত উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটেছে।

আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার আতাহার শিল্প এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর থানা ছাড়াও দাঙ্গাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনায় ভাঙচুর করা হয় নেসকোর ৩টি জরুরি সার্ভিস গাড়ি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মীকে আটক করে।

নেসকো কর্মীদের অভিযোগ, নেসকোর দাবিকৃত এলাকা দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের উচ্চ ক্ষমতার সরবরাহ লাইন টানা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে নেসকোর একটি গাড়ি যাবার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জড়ো হওয়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা ওই গাড়িতে থাকা শফিকুল ইসলাম নামে এক লাইনম্যানকে মারধর করে। ভাঙচুর করে গাড়িটি।

খবর পেয়ে নেসকো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল আজিমের নেতৃত্বে দুই গাড়ি বোঝ্ইা নেসকো কর্মীরা সেখানে গেলে তাদেরও তাড়া করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা। নেসকো কর্মীরা এসময় জীবন বাঁচাতে যে যেদিকে পারে ছুটে পালায়। নির্বাহী প্রকৌশলী পাশের একটি বৃহৎ অটোরাইস মিলে আশ্রয় নেন। ওই মিলের গেট ভেঙে পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে মিল শ্রমিকরা বাধা দেন। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নেসকো-১ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, নেসেকোর বিদ্যমান ১১ কেভি লাইনের পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইন টানার চেষ্টা বেআইনি। এ ব্যাপারে তাদের চিঠি দিয়ে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা নিষেধ না শুনে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত প্রায় ৩ শ’ লোক জড়ো করে হামলা করে। তাদের ইটের আঘাতে ৫/৬ জন নেসকো কর্মী আহত হন।

প্রায় এক বছর আগেও তারা এমন চেষ্টা আরেকবার করেছিল। তখন তাদের নিবৃত্ত করা হয়। নেসকো-২ নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, এ ব্যাপারে নেসকোর এমডি পল্লী বিদ্যুৎকে চিঠি দিলেও কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে মামলা করা হবে।

প্রকৌশলীরা বলেন, নেসকোর কর্মীরা আহত ও ৩টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা হুমকির মুখে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কেন এমন করল সে সম্পর্কে ষ্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি নেসেকো প্রকৌশলীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম  ছানোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। সব কিছু  জেনে জানাবেন। স্টেশনের দায়িত্বে থাকা ডিজিএম ফিরোজ জামানের সাথে বহুবাব চেষ্টা করেও কখা বলা যায়নি। এজিএম আরিফুর রহমান  বিকেলে বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক দু’পক্ষকে নিয়ে বসেছেন। মিটিং শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক কি সিদ্ধান্ত দেন তার ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন পক্ষ কোন অভিযোগ দেয়নি বলেও জানান ওসি। তিনি বলেন, বিবদমান উভয়পক্ষের ইট হাতে শতাধিক করে লোক ছিল।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS